বাংলাট্রিবিউন:
খুলনা, বরিশাল, সিলেট, গাজীপুর, রাজশাহী ও রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী এক বছরের মধ্যে। এ বছরের শেষদিকে হচ্ছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই ছয় মহানগরীর নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বিএনপিতেও। বিগত দিনের রেকর্ড ও দলের প্রতি অনুগত থাকার অতীত কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে দলটি। এক্ষেত্রে দুটি মহানগরে বর্তমান মেয়র বিএনপি সমর্থিত হলেও আগামী নির্বাচনে তারা বাদ পড়তে পারেন। রংপুরে প্রার্থী দিয়ে চমক দেখানোর ইচ্ছা দলটির। এছাড়া বাকি তিনটি নগরে প্রার্থী বহাল থাকতে পারে। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এ সম্পর্কে আভাস পাওয়া গেছে।
যারা বাদ পড়বেন
বরিশালের বর্তমান মেয়র আহসান হাবিব কামালের পরিবর্তে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান সারোয়ার এগিয়ে আছেন। এই দু’জন থেকেই একজনকে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে। বাদ পড়তে পারেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র এম এ মান্নান।
তার বিষয়ে বিএনপির সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচির আগে চিকিৎসার নাম করে তিনি দেশত্যাগ করেছিলেন। এজন্য দলের প্রধান খালেদা জিয়া তার ওপরে তখন থেকেই ক্ষুব্ধ।
চমক যেখানে
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে চমক দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। দলীয়ভাবে ওই শহরে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা খুব একটা শক্তিশালী না থাকায় জাতীয় পার্টির একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে দলে ভিড়িয়ে মনোনয়ন দিতে পারে দলটির নীতিনির্ধারকরা। তবে এখনই ওই নেতার নাম ঘোষণা করতে অনিচ্ছুক বিএনপি। দলীয় একটি সূত্র দাবি করেছে, খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ফেরার পর তার হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেবেন ওই নেতা। এরপরই নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর তার নাম জানাবে বিএনপি।
বহাল থাকতে পারেন যারা
আগামী নির্বাচনে খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
রাজশাহীর মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং খুলনার বর্তমান মেয়র মো. মনিরুজ্জামান মনি’র বহাল থাকার সম্ভাবনা বেশি। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এই তিন সিটিতে প্রার্থী বদল হবে না। তাদের দলীয় ও ব্যক্তিগত রেকর্ড ইতিবাচক হওয়ায় হাইকমান্ড তাদের বহাল রাখবেন বলেই বিশ্বাস বিএনপির দুই ভাইস চেয়ারম্যানের।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড ও স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শিডিউল ঘোষণার পর প্রার্থী ঘোষণা হবে। কে কাজ করছে, কে কি করেছে, আগের রেকর্ড কি এগুলো দেখেই প্রার্থী দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সিটি করপোরেশনেই সম্ভাব্য প্রার্থী আছে, কিছু জায়গায় তো ডিসাইডেড প্রার্থীও আছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হবে মূলত শিডিউল ঘোষণার পর।
পাঠকের মতামত: